বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি হেলাল শেখঃ
রাজধানী ঢাকা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের যুদ্ধ প্রায় শেষ হওয়ার পথে, বাস যাত্রীরাসহ এবার বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
রবিবার ১০ জুন, ২০১৮ইং সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে বাড়ি ফেরার ভিড় জমে থাকতে দেখা যায়। জানা যায়, ১ জুন যারা ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনেছিলেন, তারাই আজ বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন।
স্টেশন সূত্র জানিয়েছেন, রবিবার (১০ জুন) কমলাপুর স্টেশন থেকে ৬৩টি ট্রেন ছেড়ে যাবে বিভিন্ন জেলায়। এরমধ্যে ২৮টি আন্তঃনগর। বাকিগুলো মেইল, এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য কমলাপুর স্টেশনে এসেছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাজিব হায়দার এবং তার পরিবার।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আগ মুহূর্তে ব্যাপক ঝামেলা থাকে। তাই গত ১ জুন অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছি। আজ বাড়ি ফিরতে যাত্রা শুরু করলাম, আল্লাহু ভরসা।’
জামালপুরগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবারের সদস্যদের তুলে দিতে কমলাপুর এসেছেন একটি ডেইরি ফার্মের কর্মকর্তা মিঠু। তিনি বলেন, ‘অনেক ভিড়। দুর্ভোগ এড়াতেই পরিবারকে আগে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩০টির মতো ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে।
স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো তো স্বাভাবিক ভিড় ছিলো।’ পরে কি হবে বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়নি। ১২ জুন থেকে ভিড় বাড়বে। এছাড়া সকালে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরি করেছে। সেটা দেরি করেই স্টেশনে এসেছিল। বাকি ট্রেনগুলো সব ঠিক সময়ে ছেড়েছে। অগ্রিম টিকিট ছাড়াও দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটও বিক্রি করা হবে।’ এবার ঈদের সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো প্রতিদিন প্রায় লাখেরও বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে বলেও জানান সিতাংশু চক্রবর্ত্তী।
তিনি আরও জানান, অগ্রিম টিকিটসহ সব মিলিয়ে ৭৫ হাজারের মতো টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী কিছু স্ট্যান্ডিং টিকেটও দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ যাত্রী যেতে পারবে প্রতিদিন।’
অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলীসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা যায়, তাদের বেশিরভাগ অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে, এবং কিছু যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাস ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভার এবং আশুলিয়া থেকে মফস্বল এলাকায় গ্রামের বাড়ি যাবেন কয়েক লাখ মানুষ।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা মিজান ও নাজমুল বলেন, শিল্পকারখানাগুলোর ছুঁটি ঘোষণা হয় দুই ভাগে ১ থেকে ২ দিন আগপাছ করে। যাতে রাস্তায় যানজট কিছুটা কম হয় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমননি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইফুল নামের এক বাস যাত্রী বলেন, ঈদ আসলেই বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়, একদিকে রাস্তায় যানজট বাড়ে, আবার গাড়ি কম থাকায় ভাড়া ডাবল গুনতে হয় সকল যাত্রী সাধারণের। এ যেন দেখার কেউ নাই।
জানা গেছে, ঈদে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার দিকে চিন্তা করে সরকার আইনঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারিসহ জনসেবায় কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
নতুনবাজার/হেলাল শেখ, ১০জুন,২০১৮