বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজধানী ঢাকার নিকটর্বতী সাভার ও আশুলিয়ায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানেও থেমে নেই মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের নিয়মিত মিলন মেলা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় পুলিশের একটি ট্রাফিক জোন, একটি হাইওয়ে থানা, ডিবি অফিস, (র্যাব ৪), ক্যান্টমেন্ট ভিআইপি এলাকা ও আশুলিয়া থানা। এ এলাকায় প্রায় ১ কোটি মানুষের বসবাস। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে যোগ হয়েছে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনকারীদের মিলনমেলা।
বিশেষ করে আশুলিয়া থানার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই পুলিশের হাতে মাদক কারবারী ও সেবনকারীরা ধরা পড়লেও রাস্তা থেকে ছাড়া পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করেন অনেকেই।
বাংলাদেশের যে কোনো থানা এলাকার চেয়ে আশুলিয়ায় মাদকের সরবরাহ অনেকটা বেশী বলে অভিমত সচেতন মহলের।
সুত্র জানায়, আশুলিয়ার এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মাদক সেবি ও বিক্রেতা নেই। সারা দেশে যখন মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় সাভার ও আশুলিয়ায় ইয়াবা হিরোইন সহ যে কোন ধরনের মাদকের সরবরাহকারী এবং সেবন কারী সংখ্যার দিক দিয়ে বেড়েই চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে এদের আটক করলেও তেমন কোনো সমাধান আসছে না, কারণ আদালত থেকে জামিনে এসে তারা আবার ওই মাদকের সাথে জড়িত হয়। রক্তের সাথে মিলেমিশে গেছে এলাকার যুব সমাজে বলে অভিমত ও অভিযোগ এলাকাবাসীর। মাদকের টাকা জোগার করতে এলাকায়, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ (ক্রাইম) বেড়েছে বলে অনেকেই জানান।
গত ১ মাসে এর ধারাবাহিকতায় এই এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অনেক অবনতি হয়েছে। চুরি ডাকাতি নারী র্নিযাতন সহ ঘটেছে অনেক দাঙ্গা হাঙ্গামা। এই মাদককে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহের শুক্রবার সকালে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আবু তাহের মৃধার সংগে স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজন ভূইয়ার দ্বন্দের জেরে এক হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি কার গাড়ি অগ্নিসংযোগসহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ৬ নং ওয়াডের মেম্বার আবু তাহের এর ব্যক্তিগত ম্যানেজার এর বাড়িতে স্থানীয় রাজন ভূইয়া হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আগে, পরে তাহের বাহিনীও হামলা চালায়। এর আগে ম্যানেজার এর মা জাহানারা বেগম বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছে রাজন ভূইয়ার সর্ম্পকে জানতে চাইলে তারা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আর ভয়ে নাম না বলার শর্তে অনেকেই বলেন, এ এলাকায় এই দুই ব্যক্তির দাপুটে এলাকাবাসী অতিষ্ট হওয়ার কথা জানান। এদের বাহিনীর অনেকেই মাদকের সঙ্গে জড়িত আছে বলে তারা জানান। তাদের বিলাস বহুল বাড়ি গাড়ি রয়েছে। তারা গাড়ীতে বসেই মাদক সেবন করে থাকেন।
এ ব্যাপারে রাজন ও তাহের মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানান, এদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে। বর্তমানে ভাংচুরের একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উক্ত বিষয়ে এলাকার মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সিভিলে গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে হয়ত আরও কঠিন সত্য বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।