বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নৌ-রুটে লঞ্চে যাত্রীদের অভিযোগ গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে মালিক পক্ষ!
হেলাল শেখঃ
ঈদের আগে উৎসব উপলক্ষে স্বজনদের কাছে ছুটছিলো মানুষ। ঈদের পর আবারও একই ভাবে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মতো। যাত্রীদের কাছ থেকে লঞ্চ মালিক পক্ষ গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ২১ জুন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌ-রুটে মালিক পক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বৃদ্ধি করে কথিত গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছেন।
গত ১৭ জুন, ২০১৮ইং রবিবার ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল ৬টার লঞ্চ জামাল ৪, ৬ টা ৩৫ মিনিটে সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। নয়ন নামের একজন লঞ্চ যাত্রী বলেন, ঘাটে আসলেই কিছু লোক মহিলাদের ব্যাগ টানাটানি করে এবং ভাড়া নিয়েও কিছু অনিয়মের তথ্য দেন। অন্য একজন কামাল ও রিয়াজ বলেন, আগের চেয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজধানীতে বিভিন্ন রোডে বাস ভাড়াও দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে।
২১ জুন জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ, বাস যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদযাত্রার সুযোগে গলাকাটা ভাড়া হেঁকেছে মালিক পক্ষ। লঞ্চ ও বাসে প্রায় ২০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। তথ্যমতে সব রুটেই প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক পক্ষের দাবি ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি।
বিশেষ করে সারা বছর রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোয় ডেকে ২০০-২৫০ টাকা নেয়া হয়। আর সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া নেয়া হয় ৯০০-১০০০ টাকা। ডাবল কেবিন ১৮০০-২০০০ টাকা নেয়া হয়। আর ভিআইপি কেবিনের ভাড়া নেয়া হয় প্রকারভেদে ৩-৪ হাজার টাকা। কিন্তু ঈদ এলেই সরকারি ভাড়ার অজুহাত তুলে মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন বলে যাত্রীরা জানান। সে অনুযায়ী এবার ঈদের আগে ও পরে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে এবং যাত্রীদের সাথে সময় নিয়ে তালবাহানা ও প্রতারণা এবং হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত ব্যাপারে জামাল ৪ লঞ্চ এর মাষ্টার বাবলু বলেন, আগে সরকারী ভাড়ার চেয়েও কম নেয়া হত, এখন সরকারী ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সরকারি নিয়মেই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছি, বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ন পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার সাংবাদিকদের জানান, ঈদে বেশি ভাড়া নেয়া হয় না। কিছু অসাধু লোকের কারণে পরিবহনে বদনাম হয়।