বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
হেলাল শেখ, গাজীপুর থেকেঃ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
২৬ জুন ২০১৮ইং মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া গাজীপুরের এই নির্বাচন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে নগরীতে সামান্য বৃষ্টি হলেও এখন আর সেটা নেই, এর কারণে সকাল ৮-থেকে ১০টা দিকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার সংখ্যা একেবারেই কম ছিলো। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উৎসবের আমেজে ৪২৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজর রাখছেন পুলিশ প্রশাসন।
জানা গেছে, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি গাজীপুরে এবার মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন।
এ সিটিতে এবার নতুন ভোটার একলাখ ১১ হাজার। এ ছাড়া, শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি রয়েছে। গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৮টিকে সাধারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা আগেই শেষ হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে পিকআপে করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশি পাহারায় ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স পাঠানো হয়। ভোটের আগের দিন এখানে-সেখানে প্রার্থীদের পোস্টার ছাড়া বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাস-উত্তেজনা দেখা যায়নি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)।
“ভোটাররা বলছেন, প্রার্থী সাত জন হলেও মূল লড়াই হবে জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান সরকারের মধ্যে।”
“৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত।” এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে ৩৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৫৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫৪ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে ৮৪ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন।