বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
মো: বাবুল হোসাইন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্য উদ্ধগতি। সবজিসহ মাছ, মুরগীর সরবরাহ কমে গেছে। সাথে বেড়েছে দাম। ব্রয়লার মুরগীর দর প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুরগীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, খামারী ও পাইকারী বিক্রেতারা ব্রয়লার মুরগী সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী ও পুকুরের মালিকরাও এখন পুকুর হতে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে প্রায়। তাই গত শুক্রবার ও শনিবার পঞ্চগড় বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ হয়েছে। বিশেষ করে, রমজানকে সামনে রেখে তারা বেশ উদ্বিগ্ন। শবেবরাতের আগেই পাকিস্তানী সোনালী মুরগী প্রতি কেজি বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। এছাড়া, দেশী মুরগীর সরবরাহ বলতে গেলে নিম্নমুখী। যদিও পাওয়া যায় দর আকাশচুম্বি। বর্তমানে দেশী মুরগী ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাও সরবরাহ অতি অল্প। শনিবার (০৫ মে) পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকিস্তানী ও দেশী মুরগী উধাও। মাছের বাজার প্রায় শূন্য। যদিও সরবরাহ কিছুটা দেখা যায়, দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশী। এতোদিন চাষের পাবদা মাছ বিক্রি হতো ৪০০ টাকা। সেখানে দেখা গেছে, ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এখন। গরু ও খাসির দর স্থিতিশীল রয়েছে। খাসি বড় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। ছোট খাসি ও ছাগল ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রমজানে অধিক দাম পাওয়ার আশায় সবজির সরবরাহ কৃষকরা কমিয়ে দিয়েছে। এমনটাই বলছেন সবজির পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা। ফলে দাম কিছুটা বাড়তি দেশী আলু বড়টা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। কাডিনাল পাইকারী ১২ টাকা। পটলের সরবরাহ কমে গেছে। খুচরা ৩৬ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে খুচরা ৪০ টাকা ও পাইকারী ৩৬ টাকা। এলসি পিঁয়াজ পাইকারী ২৫ ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। পোল্ট্রি ডিমের দাম হঠাত করেই কমে গেছে। কদিন আগেই যে ডিম ছিলো ২৬ তা শনিবার কমে ২৪ টাকা হালিতে নেমেছে। দেশী মুরগীর ডিমের দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি দরে। মুদি পন্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তবে ছোলার বাজারটা হয়তো অসি’র হতে পারে। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে। বাড়েনি সয়াবিন তেলের দাম। চিনির দামে কিছুটা হেরফের হতে পারে। বর্তমান চিনির প্রতি কেজি দর ৫৪ থেকে ৬০ টাকা। বাড়তে শুরু করেছে আমদানীর উপড় নিভর্রশীল আঙুর ও সহ অন্য সব ফলের দামও। আঙুর কদিন আগেই ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। আপেল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের প্রভাব আগেভাগেই পড়েছে মুরগী ও মাছের উপড়। এর চাহিদাই বেশী। ফলে সাধারন মানুষ রমজানে কি করবে তাই নিয়ে চিন্তিত। এছাড়া মাথায় হাত পড়েছে, শ্রমজীবিদের। যেখানে ব্রয়লার ও পাকিস্তানী মুরগীর দাম বেড়ে গেছে। অস্থির সবজরি বাজার। অনেকের দাবী পঞ্চগড়ে নজরদারির অভাবে জিনিসের দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।