মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: আদালতে আসামীর বিপক্ষে স্বাক্ষ্য দেয়ায় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে একটি পক্ষ। এতে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করছেন কুলাউড়া থানায় কর্মরত এক উপ-পুলিশ পরিদর্শক। মৌলভীবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু ইউছুফ এর কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানাইটিকর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. কুরফান আলী। সূত্রে জানা যায়, আদালতে চলমান একটি মামলায় আসামী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মিয়ার স্ত্রী রুমি আক্তারের বিপক্ষে একটি স্বাক্ষ্য প্রদান করেন কুরফান আলী। এরপর থেকে সোহেল মিয়া নানাভাবে কুরফানকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছিলো। এরই এক পর্যায়ে গত ১০ মে রুমির স্বামী সোহেল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাত ব্যক্তি দিয়ে তাকে প্রথমে রবিরবাজার মখাইয়ের চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রবিরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মাসুদ রানা আব্বাস এর কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর কুলাউড়া থানার এএসআই নাদিম সেখানে উপস্থিত হয়ে কুরফানকে তল্লাসী করেন। তাৎক্ষনিকভাবে কিছু না পাওয়ায় তাকে বসিয়ে রাখা হয়। এরই এক পর্যায়ে এএসআই নাদিমের উপস্থিতিতে অজ্ঞাত এক যুবক একটি সিগারেটের প্যকেট কুরফানের সামনে রেখে চলে যায়। উপস্থিত অন্যান্য স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কুরফানকে নানা প্রশ্নের এক পর্যায়ে এএসআই নাদিম সেখান থেকে চলে যান।কুরফান তার লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যে, উপস্থিত মানুষের কারনে সোহেল কর্তৃক ফাঁসানোর পরিকল্পিত চেষ্টা বৃথা যায়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল মিয়া বলেন, আমার সাথে কুরফানের কোন শত্রুতা নেই। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। রুমি নামের মহিলাটি আমার কেউ না। ভাইয়ের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার সাথে আমার পরিচয়।কুরফানের কাছে ইয়াবা আছে এমন খবর পুলিশকে দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, মদ খেয়ে কুরফান বাজারে আসছিলো। ওসি কে বিষয়টি জানাই। তবে কোন দারোগাকে আমি ফোন দেইনি। এবিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার এএসআই নাদিম জানান, থানার সেকেন্ড অফিসারের কাছে খবর আসে পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ইয়াবা সহ এক লোক আটক করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও সোহেল মিয়া আমাকে ২/৩ বার কল করে বলে রবিবাজার উত্তবাজারে সেই লোকটা আছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে কুরফান নামের ওই লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করি। ইয়াবার সাথে কুরফানের কোন যোগসূত্র না থাকায় তাকে ছেড়ে দেই। তিনি আরও বলেন, অচেনা কিছু লোক কুরফানকে ফাঁসাতে চেয়েছিলো তবে আমি তা হতে দেইনি। একটি সিগারেটের প্যাকেটের ভিতরে ইয়াবা আছে তা ওইসময় বুঝা যায়নি। তবে যে ব্যক্তিটি প্যাকেটটি রেখেছিলো তাকে কেউ চিনে না। তাকে খোঁজা হচ্ছে। এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউছুফ বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। যে ব্যক্তিটি সিগারেটের প্যাকেট রেখে চলে গেছে, তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। অভিযোগকারী কুরফান মিয়াকেও বলেছি তাকে সনাক্ত করার জন্য। ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করা গেলে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।